প্রত্যয় নিউজডেস্ক: গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিজের প্রিয় ক্লাব বার্সেলোনা ছেড়ে স্পেনেরই আরেক দল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে নাম লিখিয়েছেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ। বার্সার হয়ে মাত্র ৬ মৌসুম খেলেই হয়েছেন ক্লাবটির ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলস্কোরার। বার্সার জার্সি গায়ে ১৯৮ গোলের পাশাপাশি ১০৯টি এসিস্টও করেছিলেন সুয়ারেজ।
যা সাক্ষ্য দেয়, গোল করার পাশাপাশি করানোতেও পারদর্শী ৩৩ বছর বয়সী এ স্ট্রাইকার। যার প্রমাণ তিনি দিলেন আরও একবার। তাও কি না নতুন দলে নাম লেখানোর দুই দিনের মধ্যেই। রোববার রাতে নতুন জার্সিতে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন সুয়ারেজ। যা ছিলো স্প্যানিশ লা লিগার নতুন মৌসুমে অ্যাটলেটিকোরও প্রথম ম্যাচ।
এই ম্যাচ দিয়েই নতুন ঠিকানায় অভিষেক হলো সুয়ারেজের। আর এই ম্যাচেই জোড়া গোলের সঙ্গে এক এসিস্ট করে নিজের অভিষেকটি রাঙিয়ে রাখলেন সুয়ারেজ। তাও কি না মাত্র ২০ মিনিট খেলে। এই ২০ মিনিটের জাদুতে ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছেন সুয়ারেজ।
উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারের দুই গোল-এক এসিস্টের পাশাপাশি অ্যাঞ্জেল কোররেয়া, ডিয়েগো কস্তা এবং হোয়াও ফেলিক্সের একটি করে গোলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে জিতেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। প্রতিপক্ষ গ্রানাডার হয়ে একটি গোল শোধ করেছেন জর্জ মলিনা ভিদাল।
রোববারের ম্যাচটিতে মূল একাদশে সুয়ারেজকে রাখেননি অ্যাটলেটিকো বস ডিয়েগো সিমিওনে। ম্যাচের আয়ুষ্কাল যখন ৭০ মিনিট পেরিয়েছে, তখন কস্তার বদলে সুয়ারেজকে ডেকে নেন সিমিওনে। মাঠে নেমে এক মিনিট পরই মার্কোস লরেন্তেকে দিয়ে গোল করান সুয়ারেজ। স্কোরলাইন তখন ৪-০।
বলা যায়, তখনই জয় নিশ্চিত হয়ে গেছিল অ্যাটলেটিকোর। তবু নিজের জাদু দেখানো যে বাকি ছিল সুয়ারেজের। ম্যাচের ৮৫ মিনিটের সময় স্প্যানিশ মিডফিল্ডার লরেন্তের বাড়ানো ক্রসে লাফিয়ে উঠে হেড দিয়ে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন সুয়ারেজ। নতুন জার্সিতে এটিই তার প্রথম গোল। এর দুই মিনিট পরই নিজেদের একমাত্র গোলটি করে গ্রানাডা।
ম্যাচ শেষ হওয়ার ঠিক আগে দিয়ে আবারও স্কোরশিটে নাম তোলেন সুয়ারেজ। এবার বুদ্ধিদীপ্ত ফ্লিকে তাকে বল এগিয়ে দেন সেই লরেন্তেই। সতীর্থের কাছ থেকে পাওয়া বল ধরে প্রথম শট গোলবার বরাবর মারেন সুয়ারেজ। তবে ফিরতি বলে গোল করতে কোনো ভুল করেননি এ উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার।
ম্যাচের শেষ ২০ মিনিটে সুয়ারেজ শো হওয়ার আগেই অবশ্য তিন গোল করেছিল অ্যাটলেটিকো। মাত্র নবম মিনিটেই দলের প্রথম গোলটি করেন ডিয়েগো কস্তা। প্রথমার্ধে হয়নি আর কোনো গোল। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে দুই মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কোররেয়া এবং সুয়ারেজ নামার মিনিট পাঁচেক আগে তৃতীয় গোলটি করেন ফেলিক্স।